কোটাপ্রথা বাংলাদেশের মত উচ্চ বেকারত্বের দেশে একটা আনফেয়ার প্রথা। শুধু মাত্র ভারতের মত উচ্চ বর্ণবাদী দেশে কিংবা যুদ্ধবিধ্বস্ত কোন দেশের জন্য এটা মানানসই হতে পারে।
মুক্তিযুদ্ধের এত এত বছর পর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি নাতনিদের জন্য কোটা বরাদ্ধ রাখা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যই লজ্জাকর বিষয়। কারণ তাদের পরিবারের জন্য রাষ্ট্র প্রদত্ত অন্যান্য সুবিধাদিতো আছেই। একইভাবে উপজাতি কোটা, জেলা কোটা, নারী কোটা সবই আজকের এই ডিজিটাল শ্লোগানের যুগে পুরাই অযৌক্তিক। একমাত্র প্রতিবন্ধী কোটার কিছু যৌক্তিকতা রয়েছে। অতএব এটা ছাড়া বাকী সব কোটার গোড়ায় কুঠার দিয়ে আঘাত করার সময় বহু আগেই হয়েছে।
বর্তমানে এই প্রথার বিরুদ্ধে যে আন্দোলন চলছে, ঢাবির একজন প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এই আন্দোলনের প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আজ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বানিজ্যকারী এই সরকার পুলিশ দিয়ে শাহবাগে যা করেছে তা কেবল ৭১ এর কালো পঁচিশের কথা মনে করিয়ে দেয়। এই ঢাবি, এই এলাকা, এই ঢাবির ছাত্ররাই ছিল সে দিন পাক হানাদারদের টার্গেট। সবই ঠিক আছে, শুধু পাল্টেছে হানাদারদের পরিচয়। পাক হানাদারদের স্থানে আজ আওয়ামী হানাদার!!!
একটি বৈষম্যহীন দেশের জন্য আর কত লড়তে হবে এ জাতির তরুনদের???
– আবু সালেহ ইয়াহইয়া